পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শারদাঞ্জলি ফোরাম রংপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সবাইকে কৃষ্ণভাবনামৃত শুভেচ্ছা।

ছবি
শারদাঞ্জলি ফোরাম রংপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত শারদাঞ্জলি ফো রাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সবাইকে কৃষ্ণভাবনামৃত শুভেচ্ছা। ১। শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল - সভাপতি ২। শ্রী লিটন চন্দ্র পাল - সাধারণ সম্পাদক ৩। শ্রী লোকনাথ ভৌমিক - সংগঠনিক সম্পাদক ৪। শ্রী নিহার বিশ্বাস - প্রচার সম্পাদক ৫। শ্রী সুমন চন্দ্র দাস - কোষাধ্যক্ষ ৬। শ্রী সুজিত পাল - মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যাক্রম বিষয়ক সম্পাদক। সভাপতি অমল চন্দ্র রায় সাধারণ সম্পাদক সমরেশ দাস শারদাঞ্জলি ফোরাম, রংপুর জেলা।
ছবি
গত এপ্রিল ২০, ২০১৮ তারিখ অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথিদের অবগতির জন্য ফেসবুকে পোষ্ট দিলাম। সকল সারথিকে কার্যবিবরণী মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমি এখনও অসুস্থ। ডাক্তার কম্পিউটারে কাজ করার জন্য নিষেধ করছেন। তবুও প্রাণের তাগিদে বসতে হয়েছে। ভাষাগত এবং কম্পোজজনিত কোন ভুল-ভ্রান্তি থাকলে সারথিদের ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। শারদাঞ্জলি ফোরাম  অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়, মল্লিক টাওয়ার, ৮ম তলা, ঢাকা বিষয় ঃ এপ্রিল ২০, ২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত জরুরী সভার কার্যবিবরণী।   গত এপ্রিল ২০, ২০১৮ তারিখ শুক্রবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর অস্থায়ী কার্যালয় দিকদর্শন প্রকাশনী লিঃ, মল্লিক টাওয়ার(৮ম তলা), চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ অফিসে শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি এবং কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি এবং কেন্দ্রীয় সম্মেলন   প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শ্রী রতন চন্দ্র পাল। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিট...

অদ্য এপ্রিল ২০, ২০১৮ ইং শুক্রবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় অস্থায়ী কার্যালয় দিকদর্শন প্রকাশনী লিঃ, মল্লিক টাওয়ার(৮ম তলা), চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, ঢাকা।

ছবি
অদ্য এপ্রিল ২০, ২০১৮ ইং শুক্রবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় অস্থায়ী কার্যালয় দিকদর্শন প্রকাশনী লিঃ, মল্লিক টাওয়ার(৮ম তলা), চিত্তরঞ্জন এভিনিউ,  ঢাকা-১০০০ অফিসে শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি এবং কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বিপুল সংখ্যক সারথির উপস্থিতিতে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপিস্থিত সারথিদের সর্বসম্মত সম্মতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভার কার্যবিবরণী সকল সারথিদের অবগতির জন্য আগামী ২২ এপ্রিল ফেসবুকে পোস্ট দেয়া হবে। জয় শারদাঞ্জলির জয়, জয় হোক মানবতার।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি,

ছবি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি এই মর্মে শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথিদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী এপ্রিল ২০, ২০১৮ ইং শুক্রবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় অস্থায়ী কার্যালয় দিকদর্শন প্রকাশনী লিঃ, মল্লিক টাওয়ার(৮ম তলা), চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ অফিসে শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি এবং কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির এক জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভার বিষয়সমূহ সভাকালীন সময়ে উপস্থাপন করা হবে। উক্ত দুই আহ্বায়ক কমিটির সকল সারথিকে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

শারদাঞ্জলি ফোরাম গোপালগঞ্জ জেলা শাখা সদস্য সংগ্রহ চলছে।

ছবি
হরে কৃষ্ণ  শারদাঞ্জলি  ফোরাম গোপালগঞ্জ  জেলা শাখা  অাগামি  13/04/2018 ইং রোজ শুক্র বাড় সময় সকাল ১০ ঘটিকা মিটিংয়ের অায়জন  করা হয়েছে ইস্তান  গোপালগঞ্জ  কেন্দ্রীয়  কালি বাড়ি  সকল সারথিকে বিশেষ  ভাবে অাশার অনুরোধ  করিতেছি

বৈ - তরণী নদী

ছবি
বৈ- তরণী নদী সৃষ্টি তত্ত্ব!! বৈ- তরণী→ তরণী অর্থে নদী' বিশেষ কিম্বা নদী' শব্দের সামর্থক শব্দ!  বৈ- শব্দে ভিন্ন'রুপ ( অন্য পর্যায়ের অর্ন্তভূক্তি, আলিন্দ্যম লিঙ্গম্ )  এদৎস্থাণে বৈ- বাক্য বুঝাইতে, এ'হি জগৎ নহে্ অন্যরুপ কোন জগৎ কে নির্দেশ করিয়াছে । ★ ইহকাল ( বর্তমাণ লিঙ্গম্)  এবং পরকাল' ( ভবিষৎ লিঙ্গম্ )  এ'হি দূ-টি শব্দ নিত্য' এবং আনিত্য' রুপ বিশেষ নির্দেশ করিতেছে! এক' খানা হইলো নিত্য'ধাম → যাহাঁতে আত্মা' জীবাত্মারুপে দেহ' ধারন করেন্ এবং অনিত্য'ধাম→ যেইস্থাণে কোনরুপ দেহ্ গঠিত হইয়া থাকেনা!  যেই স্থাণে কেবল মাত্রই আত্মা বিরাজে । ★এইক্ষণে, আবার বলিলাম পাপ- পূণ্য তত্ত্ব!  ভগবাণ ব্যাসদেব মূণির পুত্র ভগবাণ শুকদেব মূণি কৌরবংশিয় রাজা মহারাজ পরিক্ষিৎ কে দ্বাপরের অন্তে পাপ -পূণ্য বিষায়ক্ জ্ঞাণ প্রদাণ করিয়া-ছিলেন যাহাঁ ভাগ্বদ' এ উল্লেখ রহিয়াছে ।  মানুষের কু- কর্ম রুপি সকল কর্মই পাপ বিশেষ এবং স্ব- কর্ম ( এদৎস্থাণে স্ব- কর্ম বুঝাইতে ভালো কর্ম কিম্বা বেদ' প্রদত্ত্ব কর্মকেই নির্দেশ করিয়াছে ) গুলি পূণ্য বিশেষ রুপে বিদ্যমাণ !  সেই হেতু, পাপ - এব...

শাস্ত্রে বলেছেন যে বিরহ বেদনা অনুভব না করলে প্রেমের অনুভব সম্পূর্ন হয় না ।

ছবি
শাস্ত্রে বলেছেন যে বিরহ বেদনা অনুভব না করলে প্রেমের অনুভব সম্পূর্ন হয় না ।  যেমন রাধারানীর অনুভব হয়েছিল বৃন্দাবনে কৃষ্ণ বিচ্ছেদে আর শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর গম্ভীরায় অন্ত লীলায় । বিরহে প্রেমের পুষ্টি হয়  ও প্রেমিক প্রেমিকা বিচ্ছেদের মধ্যে মিলনের সুখ অনুভব করেন । এ কিন্তু  জড় জাগতিক সমাজে অসম্ভব ।

রাখি বন্ধন উৎসব কেন করা হয়

ছবি
রাখি বন্ধন উৎসব কেন করা হয়। ইতিহাস সবসময় একাধিক মতবাদ প্রদান করে, এই একাধিকত্তের মধ্যে কোনটি উল্লেখযোগ্য তা নিজ নিজ গ্রহণযোগ্যতার উপর নির্ভরশীল । এবার চলে আসা যাক অতীতে , এই রাখির প্রবর্তন হয় কি ভাবে? কি ভাবে সূত্রপাত এই ভারতব্যাপী নিদারুণ বন্ধুত্বতার মহোৎসবের ? রাখিবন্ধনের দিন গণেশের বোন গণেশের হাতে একটি রাখি বেঁধে দেন। এতে গণেশের দুই ছেলে শুভ ও লাভের হিংসে হয়। তাদের কোনো বোন ছিল না। তারা বাবার কাছে একটা বোনের বায়না ধরে। গণেশ তখন তাঁর দুই ছেলের সন্তোষ বিধানের জন্য দিব্য আগুন থেকে একটি কন্যার জন্ম দেন। এই দেবী হলেন গণেশের মেয়ে সন্তোষী মা। সন্তোষী মা শুভ ও লাভের হাতে রাখি বেঁধে দেন। পুরাণ বলছে , মহাভারতে আছে, একটি যুদ্ধের কৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পাণ্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। এতে কৃষ্ণ অভিভূত হয়ে যান। দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোন বলে ঘোষণা করেন এবং দ্রৌপদীকে এর প্রতিদান দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। বহু বছর পরে, পাশাখেলায় কৌরবরা দ্রৌপদীকে অপমান করে তাঁর বস্ত্রহরণ করতে গেলে কৃষ্ণ দ্রৌপদীর সম...
ছবি
নাম ভজ নাম চিন্ত নাম কর সার  নাম বিনে কলি জীবের গতি নাহি আর। . হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে  হরেরাম হরেরাম রামরাম হরেহরে।।
http://www.poriborton.com/law-and-crime/115454
ছবি

চির বিদায়

ছবি
শারদাঞ্জলী ফোরাম রংপুর জেলা শাখা ভগবান যেনো তোমায়  তার গোলোক ধামে  স্থান দেয় এই প্রার্থনা করি। চিরো বিদায়  সকলের প্রিয় মানুষ  এ্যাড.রথীশ চন্দ্র ভৌমিক   বাবুসোনা।

প্রশ্নঃ গীতায় বলা হয়েছে, মৃত্যুর সময় যদি কেউ কৃষ্ণপাদপদ্ম স্মরণ করতে পারে, সে পরমগতি প্রাপ্ত হয় । তা হলে সারা জীবন পাপকর্ম করেও যদি মরণকালে কৃষ্ণস্মরণ কেউ করে তারও উদ্ধার হবে ? উত্তরঃ হ্যাঁ, সেও পরমগতি প্রাপ্ত হবে । কারণ যিনি শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত হলেন, তার সমস্ত পাপ থেকে পরম নিয়ন্তা শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে উদ্ধার করবেন বলে শ্রীঅর্জুনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ ।। ( গীতা 18/66 ) “আমি তাকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করব । এই বিষয়ে চিন্তা করার কিছু নেই ।”শেয়ারও করুন। কিন্তু বিপদটি হচ্ছে সেইখানে যে, পাপীদের কাছে মৃত্যু যখন উপস্থিত হয়, সাধারণত শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করবার মানসিকতা তাদের একটুও থাকে না । বিষয় ভোগ চিন্তায় অভ্যস্ত ব্যক্তির শ্রীকৃষ্ণপাদপদ্মে মতি স্থির হয় না । তার হৃদয়ে ভোগবাসনা জমা থাকার জন্য জন্ম-জন্মান্তর ধরে পশুপাখি কীটপতঙ্গাদি হয়ে এই জর জগতে তাকে বদ্ধ থাকতে হয় । শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ উল্লেখ করেছেন, “মৃত্যুর সময়ে আমাদের শেষ চিন্তাটি কি হবে তা নির্ভর করছে আমাদের জীবদ্দশায় আমরা কিভাবে কর্ম করছি তার উপর।” ( আত্মজ্ঞান লাভের পন্থা, 207 পৃঃ ) অর্থাত বুঝে নেওয়া উচিত এই যে, জীবদ্দশায় যদি আমরা ভগবদ-কর্মে নিয়োজিত না হই, কৃষ্ণভাবনার অনুশীলন না করি, তা হলে অবশ্যম্ভাবী আসন্ন মৃত্যু কখনই আমাদের পরমধামে উন্নীত হতে কৃষ্ণস্মরণের সুযোগ দেবে না । তাই বুদ্ধিমান ব্যক্তি জীবনের প্রথম থেকেই কৃষ্ণভজন করেন । কৌমার আচরেত্ প্রাজ্ঞঃ । শৈশব থেকেই হরিভজন কর উচিত । সব সময়ই শ্রীকৃষ্ণকে স্মরন করা উচিত এবং কখনই শ্রীকৃষ্ণকে বিস্মৃত হওয়া উচিত নয় ।

ছবি

হরে কৃষ্ণ

ছবি
আপনার কি ৩০ সেকেন্ড সময় হবে??? যদি সময় থাকে,তাহলে Comment Box এ একবার "হরে কৃষ্ণ" বা"Hare Krishna" লিখুন। ভগবান সকল জীবের মঙ্গল করুক এই কামনাই করি। প্রথম Comment টা আমিই করলাম।

বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর ট্রাস্টি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক(বাবু সোনা) কাকুর লাশ উদ্ধার খুনি আর কেউ নন তারই সহধর্মিণী। বিদায় বাবু সোনা কাকু বলতে কষ্ট হচ্ছে তোমার হাসি মাখা মুখটা মিস করব অাজীবন। নাটকীয় ভাবে চলে যাবে এটা কেউ প্রত্যাশা করে নি।

ছবি
ছবি
নিখোজ এ্যাড.রথীশ চন্দ্র ভৌমিক (বাবুসোনা)র  সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে দেবার দাবি তে  চলছে আন্দলোন চলবে. ।  আজ  শারদাঞ্জলী ফোরাম  রংপুুর জেলা শাখা, মাহিগঞ্জ গোসাই বাড়ি এলাকা বাসি ও সাতমাথা মহানাম সংঘ এর উদ্যগে আয়োজিত বিক্ষোভ  মিছিলটি সাতমাথা,  মাহিগঞ্জ, তাজহাট হয়ে সাতমাথা শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত  হয় এতে বক্তব্য  দেন রংপুুর সিটি কর্পোরেশনের ৩০নং ওর্য়াড কাউন্সিলার জনাব মালেক নিয়াজ আরজু।

হরে কৃষ্ণ প্রতিটি নগর ও গ্রামে সকলেরই উচিত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উপদেশ লাভ করে দিব্যজ্ঞান লাভ করা। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলকেই কৃষ্ণ ভাবনার অমৃত বিতরণ করা উচিত। তার ফলে সারা পৃথিবী শান্তি ও আনন্দ লাভ করবে এবং সকলেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মহিমা কীর্তন করবে, যা তিনি চেয়েছিলেন। চণ্ডাল বলতে যারা কুকুরের মাংস আহার করে তাদের বুঝানো হয়েছে। তারা হচ্ছে সব চাইতে নিম্ন স্তরের মানুষ। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপার প্রভাবে চণ্ডালেরা পর্যন্ত কৃষ্ণ ভক্তি লাভ করতে পারে। কৃষ্ণ ভক্তি কোন একচেটিয়া অধিকারভুক্ত নয়। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপা লাভের অধিকার সকলেরই রয়েছে। তা গ্রহণ করে সুখি হওয়ার সুযোগ সকলকেই দেওয়া উচিত। শ্রীল প্রভুপাদ কথামৃত।

ছবি

হরে কৃষ্ণ প্রতিটি নগর ও গ্রামে সকলেরই উচিত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উপদেশ লাভ করে দিব্যজ্ঞান লাভ করা। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলকেই কৃষ্ণ ভাবনার অমৃত বিতরণ করা উচিত। তার ফলে সারা পৃথিবী শান্তি ও আনন্দ লাভ করবে এবং সকলেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মহিমা কীর্তন করবে, যা তিনি চেয়েছিলেন। চণ্ডাল বলতে যারা কুকুরের মাংস আহার করে তাদের বুঝানো হয়েছে। তারা হচ্ছে সব চাইতে নিম্ন স্তরের মানুষ। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপার প্রভাবে চণ্ডালেরা পর্যন্ত কৃষ্ণ ভক্তি লাভ করতে পারে। কৃষ্ণ ভক্তি কোন একচেটিয়া অধিকারভুক্ত নয়। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপা লাভের অধিকার সকলেরই রয়েছে। তা গ্রহণ করে সুখি হওয়ার সুযোগ সকলকেই দেওয়া উচিত। শ্রীল প্রভুপাদ কথামৃত

ছবি
ছবি
হরে কৃষ্ণ মনের মাঝে প্রভু তুমি নিত্য করো খেলা, তোমার নামে এই আমার কাঁটছে সারা বেলা।। তোমার নামেই অমৃত সুধা, তোমার নামেই তরি, তৃভুবনের প্রভু তুমি, তুমিই বৃন্দাবনের হরি।। মনে মনে জপি আমি সর্বদা তোমার নাম, কৃষ্ণ কৃষ্ণ করোরে মন কৃষ্ণ সুধায় পাড়।। হরে কৃষ্ণ মনের মাঝে প্রভু তুমি নিত্য করো খেলা, তোমার নামে এই আমার কাঁটছে সারা বেলা।। তোমার নামেই অমৃত সুধা, তোমার নামেই তরি, তৃভুবনের প্রভু তুমি, তুমিই বৃন্দাবনের হরি।। মনে মনে জপি আমি সর্বদা তোমার নাম, কৃষ্ণ কৃষ্ণ করোরে মন কৃষ্ণ সুধায় পাড়।।

"হরে কৃষ্ণ" নিজের সুখ-সুবিধার কথা বিবেচনা না করে কৃষ্ণভাবনাময় কর্ম বা শ্রীকৃষ্ণের সেবা করাই হচ্ছে মহৎ কাজ। কেউ যদি একটু একটু করে ভগবানের সেবা করতে শুরু করে, তাতে কোন ক্ষতি নেই এবং ভগবানের এই সেবা যত নগন্যই হোক না কেন , কোন অবস্হাতেই তা বিফলে যায় না। জড়-জাগতিক স্তরে কোন কাজ কর্ম যতক্ষণ পর্যন্ত সুসম্পন্ন না হচ্ছে , ততক্ষণ পর্যন্ত তার কোন তাৎপর্যই থাকে না। কিন্ত অপ্রাকৃত কর্ম বা ভগবৎ সেবা সুসম্পন্ন না হলেও, বিফলে যায় না তার সুফল চিরস্হায়ী হয়ে থাকে। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবায় একবার যে শুরু করছে তার আর বিপথগামী হবার কোন সম্ভবনা থাকে না। এক জন্মে যদি তার ভগবদ্ভক্তি সম্পূর্ণ নাও হয় , তবে তার পরের জন্মে সে সেখান থেকে শেষ করেছিলো , সেখান থেকে আবার শুরু করবে। এই ভাবে ভগবদ্ভক্তর ফলে চিরস্হায়ী থাকে বলে ক্রমান্বয়ে জীবকে মায়া মুক্ত করে।

ছবি

এই মহিষীর অভিশাপে মৃত্যু হয়েছিল শ্রীকৃষ্ণের শেষ হয়েছে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ | রক্তাক্ত প্রান্তরে এসে সন্তানদের মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেন গান্ধারী | এই ধ্বংসলীলার জন্য তিনি দায়ী করলেন শ্রীকৃষ্ণকে | তাঁকে বোঝাতে চেষ্টা করলেন কৃষ্ণ | যে তিনি অনেকবার বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন যুদ্ধের ভয়াবহতা | কিন্তু শুনতে চাননি দুর্যোধন | কিন্তু কোনও কথাই মানতে চাইলেন না পুত্র শোকে কাতর গান্ধারী | অভিশাপ দিলেন, কুরু বংশের মতোই নির্বিচারে ধ্বংস হয়ে যাবে শ্রীকৃষ্ণের যদু বংশ | গান্ধারীর অভিশাপকে আশীর্বাদ হিসেবে নিলেন কৃষ্ণ | কারণ তিনি জানতেন যাদবদের বংশ একদিন অন্তর্কলহের জন্য শেষ হয়ে যাবে | তাই গান্ধারী তাঁর কাজ সহজ করে দিয়েছিলেন | গান্ধার কন্যা সেইসঙ্গে কৃষ্ণকেও অভিশাপ দিয়েছিলেন | যে তিনি আর মাত্র ৩৬ বছর বাঁচবেন | এবং হয়েওছিল তাই | কুরুক্ষেত্র প্রান্তরে অভিশাপ দেওয়ার ৩৬ বছর পরে মারা গিয়েছিলেন কৃষ্ণ | কারণ গান্ধারীর স্থির বিশ্বাস ছিল কৃষ্ণ চাইলেই এই যুদ্ধ আটকাতে পারতেন | অন্যদিকে, দ্বারকায় ক্রমশ ভেঙে পড়ে যদু বংশ | কৃষ্ণের শাসনে যে উচ্চতায় গিয়েছিল তারা, তার চেয়েও বেশি পতন হয় | নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় যদু বংশ | ঋষিদের সঙ্গে পরিহাস করায় এক দলা লোহার জন্ম দেয় কৃষ্ণ-পুত্র শাম্ব | রাজা উগ্রসেনের পরামর্শে সেই পিণ্ড গুঁড়ো করে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয় শাম্বর বন্ধুরা | পুরো ঘটনা লুকিয়ে রাখা হয় কৃষ্ণের কাছ থেকে | বিভিন্ন গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে যাওয়া যদু বংশের অন্তর্কলহে প্রাণ হারান অনেকে | তাঁদের মধ্যে ছিলেন কৃষ্ণ-পুত্র প্রদ্যুম্নও | দ্বারকা এবং যাদবদের এই হাল দেখে বনবাসে চলে যান বলরাম ও কৃষ্ণ | সেখানেই একদিন কৃষ্ণ দেখেন বলরামের দেহ থেকে সাপ বেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে | তিনি বুঝতে পারেন বলরাম প্রয়াণের পরে যাত্রা করেছেন বৈকুণ্ঠের পথে | এদিকে কৃষ্ণ-পুত্র শাম্বর জন্ম দেওয়া সেই লোহার পিণ্ডের কী হল? বহু চেষ্টা করেও সেটা পুরোটা গুঁড়ো করা যায়নি | থেকে গিয়েছিল এক টুকরো লোহা | সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার পরে তা গিলে নেয় একটি মাছ | সেই মাছ আবার ধরা পড়ে জিরু নামে এক ব্যাধের জালে | মাছের পেট থেকে লোহার খণ্ড পেয়ে তা দিয়ে তিরের ফলা বানায় জিরু | সেই তির নিয়ে সে বনের মধ্যে যায় পশু শিকারে | হঠাৎ তার চোখে পড়ে এক অদ্ভূত পাখি |যার গায়ে আবার কমল-চিহ্ন | লাল টুকটুকে পাখিটিকে তিরবিদ্ধ করে জিরু | কাছে গিয়ে বুঝতে পারে কী হয়ে গেছে | আসলে কোনও পাখি নয় | সেটা ছিল শ্রীকৃষ্ণের পা | ঘাসপাতার আড়ালে তাকেই পাখি বলে ভুল করে জিরু | আরও পড়ুন: সৃষ্টিসুখের উল্লাসেই সেনানীদের স্ত্রীরা আগ্রহী ‘ভাড়াটে জন্মদাত্রী’ হতে শ্রীকৃষ্ণের কাছে বারবার ক্ষমা চায় জিরু | কিন্তু কৃষ্ণ তাঁকে বোঝান, এটা কোনও অপরাধ নয় | আসলে এটাই ছিল ভবিতব্য | এই বলে বনের মধ্যে বিষ্ণুর মন্দিরে গিয়ে বিষ্ণু-মূর্তিতে বিলীন হয়ে যান তিনি | এই জিরুরও আলাদা পরিচয় আছে | বলা হয়, পূর্বজন্মে সে ছিল বালি | যাকে কৃষ্ণ নিজের রাম-অবতারে অন্যায়ভাবে ঝোপের আড়াল থেকে লুকিয়ে হত্যা করেছিলেন | কর্ম ফলে পরজন্মে সেই জিরুর হাতেই মৃত্যু হল কৃষ্ণের | সেইসঙ্গে সত্যি হল গান্ধারীর অভিশাপ | যদুবংশ ধ্বংস হল | নিঃসঙ্গ মৃত্যু এসে গ্রাস করল শ্রীকৃষ্ণকে | বলা হয় গান্ধারীর অভিশাপেই সমুদ্র এসে গ্রাস করে দ্বারকা নগরীকে | আজও আরব সাগরের গভীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে খ্রিস্টপূর্বে বিকশিত হওয়া প্রাচীন এই নগরীর ধ্বংসাবশেষ |

ছবি

ধরছি তোমার চরন খানা নাহি ছাড়িবো- কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে আমি জীবন কাটাবো] “হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে… ~হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে~ জয় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়

ছবি

যদি ব্রজের লতা হইতাম, বৃক্ষ মূলে পড়ে থাকতাম। ভক্ত, বৈষ্ণব হেঁটে যেতে, তাদের চরণ ধূলা লইতাম।। লতা হয়ে শ্রীকৃষ্ণ পেল। আমার মানব জনম বৃথা গেল।। তাই শ্রীগুরুদেব। প্রভুপাদ শ্রীল চৈতন্য সুন্দর গোস্বামীজী বলেছেন? পেয়ে জনম হারাইলে আরকি জনম হবে। এমন সেই জনম পেয়ে ভজলাম না মাধবে।। জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

যদি ব্রজের লতা হইতাম, বৃক্ষ মূলে পড়ে থাকতাম। ভক্ত, বৈষ্ণব হেঁটে যেতে, তাদের চরণ ধূলা লইতাম।। লতা হয়ে শ্রীকৃষ্ণ পেল। আমার মানব জনম বৃথা গেল।। তাই শ্রীগুরুদেব। প্রভুপাদ শ্রীল চৈতন্য সুন্দর গোস্বামীজী বলেছেন? পেয়ে জনম হারাইলে আরকি জনম হবে। এমন সেই জনম পেয়ে ভজলাম না মাধবে।। জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

যদি ব্রজের লতা হইতাম, বৃক্ষ মূলে পড়ে থাকতাম। ভক্ত, বৈষ্ণব হেঁটে যেতে, তাদের চরণ ধূলা লইতাম।। লতা হয়ে শ্রীকৃষ্ণ পেল। আমার মানব জনম বৃথা গেল।। তাই শ্রীগুরুদেব। প্রভুপাদ শ্রীল চৈতন্য সুন্দর গোস্বামীজী বলেছেন? পেয়ে জনম হারাইলে আরকি জনম হবে। এমন সেই জনম পেয়ে ভজলাম না মাধবে।। জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

ছবি
জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

জয় গীতা জীবের প্রকৃত স্বরুপ হচ্ছে আত্মা এবং তার জড় দেহটি প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তিত হচ্ছে। তার ফলে সে কখনও শিশু, কখনও কিশোর, কখনও যুবক এবং কখনও বৃদ্ধ, এভাবেই সে নানা রূপ ধারন করে করছে। দেহ অকেজো হয়ে গেলে, সেই দেহ ত্যাগ করে আত্মা অন্য দেহ গ্রহন করে। কিন্ত আত্মার কোন পরিবর্তন হয় না। (শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২য় অধ্যায় শ্লোক ১৩)।

ছবি

শশ্মান হবে শেষ বিছানা,

ছবি
শশ্মান হবে শেষ বিছানা, রবো ঘুমিয়ে,খাঁছা রবে পড়ে পাখি যাবে পালিয়ে!! প্রাণ পাখি পালালে দেহ আর দেবেনা সাড়া, রাতে মরলে সকাল হলে বলবে বাসি মরা!! কর্মফল ছাড়া সঙ্গে যাবে না আর কিছু ভাই, এ দেহ পঁচা দেহ গৌরব কিসের ভাই!!

ভক্তিযোগই হচ্ছে ভগবানকে লাভ করার -সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা ভগবদ্গীতায় চারটি যোগের কথা বলা হয়েছে —- ১.কর্মযোগ ২. জ্ঞানযোগ ৩. ধ্যানযোগ ৪. ভক্তিযোগ। – কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ এবং ধ্যানযোগের মাধ্যমে ভগবানকে আংশিক ভাবে জানা যায়। কিন্ত ভগবদ্গীতায় ভগবান বলেছেন — “ভক্ত্যা মামভিজানাতি” অথাৎ ভক্তির দ্বারাই ভগবানকে পূর্ণরূপে জানা যায়। তাই ভক্তিযোগই হচ্ছে ভগবানকে লাভ করার -সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা। – নীচে ভক্তির নয়টি পন্থা অনুশীলন করে ভগবানকে লাভ করেছেন তাঁদের দৃষ্টান্ত দেওয়া হল — ১. শ্রবণ — মহারাজ পরীক্ষিত কেবল শ্রবণের মাধ্যমে ভগবদ্ধাম লাভ করেন। তিনি শ্রীল শুকদেবের নিকট থেকে কেবলমাত্র ৭ (সাত) দিন শ্রীকৃষ্ণ মহিমা শ্রবণ করেছিলেন। ২. কীর্তন — শ্রীল শুকদেব গোস্বামী কীর্তনের মাধ্যমে ভগবানকে লাভ করেন। তাঁর পিতা মহান ঋষি ব্যাসদেবের নিকট থেকে লব্দ অপ্রাকৃত সংবাদ- ভগবৎ গুন অবিকৃতভাবে কীর্তনের মাধ্যমে। ৩. স্মরণ — মহারাজ প্রহ্লাদ ভগবানের শুদ্ধ ভক্ত দেবর্ষি নারদ মুনির উপদেশ অনুসারে সর্বদা ভগবানকে স্মরণের মাধ্যমে পরম গতি প্রাপ্ত হন। ৪. বন্দনা — কেবল স্তবের দ্বারা ভগবানের বন্দনা করার মাধ্যমে অক্রুর পরমপদ প্রাপ্ত হন। ৫. অর্চন — (পূজা)- মহারাজ পৃথু কেবল ভগবানের পূজা করার মাধ্যমে সর্বোচ্চ সিদ্ধি প্রাপ্ত হন। ৬. পাদসেবন (সেবা) — সৌভাগ্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, লক্ষীদেবী কেবল একস্থানে উপবেশন করে শ্রী নারায়ণের পাদসেবা করে সাফল্য লাভ করেন। ৭. দাস্য (আজ্ঞা পালন) — শ্রীরামচন্দ্রের সেবক মহাভক্ত হনুমান কেবল ভগবানের আজ্ঞা পালনের মাধ্যমে পরম গতি লাভ করেন। ৮. সখ্য ( ভগবানের সঙ্গে সখ্যতা স্থাপন) — মহাবীর অর্জুন ভগবানের সঙ্গে সখ্যতা করার মাধ্যমে পূর্ণ সিদ্ধি অর্জন করেন। অত্যন্ত প্রীত হয়ে ভগবান অর্জুন ও অর্জুনের ভবিষ্যৎ অনুগামী মানুষদের জন্য ভগবদ্গীতার অমৃতময় জ্ঞান উপদেশ করেন। ৯. আত্মনিবেদন — মহারাজ বলি তাঁর যথা সর্বস্ব এমনকি নিজ দেহটিকে ও ভগবানকে নিবেদনের মাধ্যমে পূর্ণ সাফল্য প্রাপ্ত হন। অম্বরীষ মহারাজ উপরোক্ত নয়টি ভক্তির পন্থাই অনুশীলন করতেন এবং এভাবেই তিনিও পরমপদ প্রাপ্ত হন।মূলতঃ সকলের হৃদয়ে ভগবানের প্রতি ভক্তি গুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু জড় জাগতিক সঙ্গের প্রভাবে তা জড় কলুষের দ্বারা আবৃত হয়ে রয়েছে। এই জড় কলুষ থেকে আমাদের হৃদয়কে নির্মল করতে হবে। তাহলে সুপ্ত কৃষ্ণ ভক্তি জাগ্রত হবে। সেটিই হচ্ছে ভক্তিযোগের পূর্ণ পন্থা। ভক্তিযোগ অনুশীলন করতে হলে সদ্গুরুর তত্তাবধানে কতগুলো বিধিনিষেধ পালন করতে হবে। যেমন – সূর্য উদয়ের পূর্বে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে আরতি করা, হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ ও কীর্তন করা। ফুল তুলে ভগবানের শ্রীচরণে নিবেদন করা, ভোগ রান্না করে তা ভগবানকে নিবেদন করা, ভক্ত সঙ্গ করা, নিরন্তর শুদ্ধ ভক্তের কাছ থেকে শ্রীমদ্ভাগবত শ্রবন করা, এই ভক্তিযোগ অনুশীলন করলে আমাদের হৃদয়ের কলুষতা দূরীভূত হয়। আমরা কৃষ্ণ ভক্তির স্তরে উন্নীত হতে পারি। তাই সদ্গুরুর তত্ত্বাবধানে বিধিবদ্ধ ভাবে ভক্তিযোগ অবলম্বন করলে অবশ্যই কৃষ্ণ ভক্তি লাভ করা যায়।

ছবি