"হরে কৃষ্ণ" নিজের সুখ-সুবিধার কথা বিবেচনা না করে কৃষ্ণভাবনাময় কর্ম বা শ্রীকৃষ্ণের সেবা করাই হচ্ছে মহৎ কাজ। কেউ যদি একটু একটু করে ভগবানের সেবা করতে শুরু করে, তাতে কোন ক্ষতি নেই এবং ভগবানের এই সেবা যত নগন্যই হোক না কেন , কোন অবস্হাতেই তা বিফলে যায় না। জড়-জাগতিক স্তরে কোন কাজ কর্ম যতক্ষণ পর্যন্ত সুসম্পন্ন না হচ্ছে , ততক্ষণ পর্যন্ত তার কোন তাৎপর্যই থাকে না। কিন্ত অপ্রাকৃত কর্ম বা ভগবৎ সেবা সুসম্পন্ন না হলেও, বিফলে যায় না তার সুফল চিরস্হায়ী হয়ে থাকে। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবায় একবার যে শুরু করছে তার আর বিপথগামী হবার কোন সম্ভবনা থাকে না। এক জন্মে যদি তার ভগবদ্ভক্তি সম্পূর্ণ নাও হয় , তবে তার পরের জন্মে সে সেখান থেকে শেষ করেছিলো , সেখান থেকে আবার শুরু করবে। এই ভাবে ভগবদ্ভক্তর ফলে চিরস্হায়ী থাকে বলে ক্রমান্বয়ে জীবকে মায়া মুক্ত করে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ক্ষমা প্রার্থণা মন্ত্র

যদি ব্রজের লতা হইতাম, বৃক্ষ মূলে পড়ে থাকতাম। ভক্ত, বৈষ্ণব হেঁটে যেতে, তাদের চরণ ধূলা লইতাম।। লতা হয়ে শ্রীকৃষ্ণ পেল। আমার মানব জনম বৃথা গেল।। তাই শ্রীগুরুদেব। প্রভুপাদ শ্রীল চৈতন্য সুন্দর গোস্বামীজী বলেছেন? পেয়ে জনম হারাইলে আরকি জনম হবে। এমন সেই জনম পেয়ে ভজলাম না মাধবে।। জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।